'সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’-এর শরয়ী বিধান


'সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’-এর শরয়ী বিধান:


শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’-এর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এতে সুস্পষ্টভাবেই শরীয়তের নিষিদ্ধ সুদ,ধোঁকা ও জুয়া এবং নিষিদ্ধ পন্থায় অন্যের মাল ভক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিদ্যমান।তাই এই পেনশনে অংশগ্রহণ করা বৈধ হবে না।

রিবান নাসীআহ (ربا النسيئة):

রিবান নাসীআহ হলো- কুরআন কারীমে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ একটি সুদ। বর্তমানে আর্থিক লেনদেনগুলোতে প্রচলিত সুদ বা ইন্টারেস্ট সে রিবারই একটি প্রকার। কুরআনে নিষিদ্ধ রিবা হচ্ছে-

والربا الذي كانت العرب تعرفه وتفعله، إنما كان قرض الدراهم والدنانير إلى أجل، بزيادة على مقدار ما استقرض على ما يتراضون به.

ولم يكونوا يعرفون البيع بالنقد، وإذا كان متفاضلا من جنس واحد، هذا كان المتعارف المشهور بينهم. ولذلك قال الله تعالى وَ مَاۤ اٰتَیْتُمْ مِّنْ رِّبًا لِّیَرْبُوَاۡ فِیْۤ اَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا یَرْبُوْا عِنْدَ اللّٰهِ، فأخبر أن تلك الزيادة المشروطة إنما كانت ربا في المال العين، لأنه لا عوض لها من جهة المقرض.

অর্থাৎ আরবের প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ রিবা হল, নির্দিষ্ট মেয়াদে দিরহাম, দীনার (মুদ্রা) ধার দিয়ে উভয়ের সম্মতিতে অক্তিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা। আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৫

উসামা ইবনে যায়েদ রা.-এর সূত্রে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

إنما الربا في النسيئة.

অর্থ : রিবা হল ধার (মেয়াদী লেনদেন)এর ক্ষেত্রে। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৬

অর্থাৎ কাউকে অর্থকড়ি ধার দিয়ে বা নিয়ে পরবর্তীতে তা পরিমাণে বাড়িয়ে নেওয়া বা দেওয়াই হল রিবান নাসীআহ। ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’-এ এটির উপস্থিতি একেবারেই পরিষ্কার। কারণ এ পেনশন চুক্তিটি  কিছু টাকা প্রদান করে নির্ধারিত মেয়াদের পর অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের। অর্থাৎ চাঁদাদাতা যে পরিমাণ টাকা আদায় করবে, সরকার এর বিনিময়ে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা পেনশন হিসেবে পরিশোধ করবে।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে নাজায়েজ হওয়ার।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url