নাবালেগের হাদিয়া গ্রহণ করার বিধান
প্রশ্ন:
১.নাবালেগের হাদিয়া গ্রহণ করার বিধান কি?
২.নাবালেগের মাধ্যমে অভিভাবকরা হাদিয়া পাঠালে কি বিধান?
৩.ছাত্রদের বেতন ব্যতীত অন্য টাকা উস্তাদ কিংবা মাদ্রাসার জন্য খরচ করার শরয়ী হুকুম কি?
উত্তর:
بسم اللّٰه الرحمن الرحيم
১.অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেওয়া হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয নয়। তাই নাবালেগ ছাত্র-ছাত্রীর দেওয়া হাদিয়া গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর যদি বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে এতটুকু বুঝমান হয় যে, অন্যান্য বালেগ সন্তানদের মতোই সব কাজ কারবার করতে সক্ষম হয়, সম্পদের খরচের জায়গা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে, তাহলে তার হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। কেননা, এখন সে বালেগের হুকুমে। তাই বালেগের বিধানাবলী তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।ফিকহী পরিভাষায় তাকে মুরাহিক বলা হয়।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর হাদিয়া গ্রহণ করেছেন। ঐ সময় আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু নাবালেগ ছিলেন। কিন্তু বয়সে বালেগ হওয়ার কাছাকাছি ছিলেন।
২.অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের অভিভাবকগণ যদি উস্তাদদের জন্য নির্দিষ্ট করে কিছু হাদিয়া পাঠায় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে।
৩.ছাত্রদের বেতন ব্যতীত অন্য টাকা ছাত্রদের পিছনেই খরচ করতে হবে।তবে যদি ছাত্র বালেগ হয় এবং সন্তুষ্টচিত্তে মাদ্রাসা কিংবা উস্তাদেরকে কিছু হাদিয়া দেয়,তাহলে তা বৈধ।
তথ্যসূত্র:
ফাতহুল বারী,হাদিস নং ৫৫৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১৬৮; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৮৪; জামিউ আহকামিস সিগার ১/২১১; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৮৭
(١)وفي فتح الباري ١٧ /١٢٨، ٥٥٣٥
عن أنس رض قال : أنفجنا أرنبا و نحن بمر الظهران، فسعى القوم فلغبوا،فأخذتها فجئت بها إلى أبي طلحة،فذبحها فبعث بوركيها -أو قال بفخذيها- إلى النبي صلى اللّٰه عليه وسلم ،فقبلها
قوله: فأخذتها...ولأبي داود(٣٧٩١) من طريق حماد بن سلمة عن هشام بن زيد: وكنت غلاما حزورا...وهو المراهق
(٢)وفي مسند الإمام أحمد ٢٠٦٩٥
قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم : ألا لا تظلموا ، ألا لا تظلموا، ألا لا تظلموا، إنه لا يحل مال امرئ إلا بطيب نفس منه
(٣)وفي الفتاوى الهندية٤ /٣٧٤
وَأَمَّا مَا يَرْجِعُ إلَى الْوَاهِبِ فَهُوَ أَنْ يَكُونَ الْوَاهِبُ مِنْ أَهْلِ الْهِبَةِ، وَكَوْنُهُ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ يَكُونَ حُرًّا عَاقِلًا بَالِغًا مَالِكًا لِلْمَوْهُوبِ حَتَّى لَوْ كَانَ عَبْدًا أَوْ مُكَاتَبًا أَوْ مُدَبَّرًا أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ مَنْ فِي رَقَبَتِهِ شَيْءٌ مِنْ الرِّقِّ أَوْ كَانَ صَغِيرًا أَوْ مَجْنُونًا أَوْ لَا يَكُونُ مَالِكًا لِلْمَوْهُوبِ لَا يَصِحُّ، هَكَذَا فِي النِّهَايَةِ
(٤)وفي رد المحتار ٥ /٦٨٧
(وَشَرَائِطُ صِحَّتِهَا فِي الْوَاهِبِ الْعَقْلُ وَالْبُلُوغُ وَالْمِلْكُ)
فَلَا تَصِحُّ هِبَةُ صَغِيرٍ وَرَقِيقٍ، وَلَوْ مُكَاتَبًا
والله تعالىٰ أعلم بالصواب