বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে শিরকি কথা আছে?
প্রশ্ন:
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে শিরকি কথা আছে?এটি পাঠ করার বিধান কি?
উত্তর :
بسم اللّٰه الرحمن الرحيم
জাতীয় সংগীতের বিশেষ কিছু সমস্যা :
'আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হওয়ার উপযুক্ত না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।নিচে প্রধান তিনটি কারণ উল্লেখ করা হলো :
১.এই জাতীয় সংগীতে এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমের যথাযথ উপস্থিতির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
২.এটি বঙ্গ ভঙ্গ রদের জন্য লিখিত। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী। কারণ রবীন্দ্রনাথ “আমার সোনার বাংলা” গানটি লিখেছিল ১৯০৫ সালে “ বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন" রদ করার জন্য তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা বর্তমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে। (উইকিপিডিয়া)
৩.এছাড়া এই সংগীতে হিন্দুদের নিয়ন্ত্রনাধীন বঙ্গকে “সোনার বাংলা” আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই বাংলাকে হিন্দুদের দেবির ন্যায় “মা” বলে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী দূর্গা, কালি, লক্ষীসহ বিভিন্ন বেীকে “মা” বলা হয়। আবার পৃথিবী, স্বদেশ এবং মাটিকে “মা” মাতৃরূপী দেবীরূপে সম্বোধন করা হয়। যেভাবে ভারত মাতা বলা হয়। সেই অর্থে রবীন্দ্রনাথ হিন্দুদের নিয়ন্ত্রনাধীন বঙ্গকে “মা” আখ্যা দিয়ে পূর্ববঙ্গ গঠনের বিরোধিতা করেছে। এই গানটি কিছু বিষয় হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সংযুক্ত,যাতে তাদের আকীদা অনুযায়ী শিরকের সম্ভাবনা বিদ্যমান।
বর্তমান জাতীয় সংগীত পাঠ করার বিধান :
দুটি শর্তে এই জাতীয় সংগীত পড়ার অবকাশ থাকলেও এর পরিবর্তে অন্য কোনো দেশাত্মবোধক ইসলামী সংগীতকে জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্ধারণ করা উচিত।দু'টি শর্ত হলো-
১.শরীয়তবিরোধী কোনো কিছু এই সংগীতের সাথে যুক্ত না হওয়া।যেমন,বাদ্যযন্ত্র,বেপর্দা ইত্যাদি।
২.আকীদা ঠিক রেখে পড়া তথা হিন্দুদের ধর্মীয় আকীদা নিয়ে এই সংগীত না গাওয়া।
والله تعالىٰ أعلم بالصواب