সাধলক্ষন তথা গর্ভবতী মহিলাদের ৭ মাস পর আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিধান

প্রশ্ন:

সাধলক্ষন তথা গর্ভবতী মহিলাদের ৭ মাস পর যে অনুষ্ঠান হয়,তা পালন করার বিধান কি?

উত্তর :

بسم اللّٰه الرحمن الرحيم 

সাধভক্ষণ :

সাধ বা সাধভক্ষণ হলো বাঙালিদের একটি গর্ভাবস্থাকালীন ঐতিহ্যবাহী আচার অনুষ্ঠান। গর্ভবতী নারীর গর্ভধারণের সাত মাস পূর্ণ হলে অষ্টম বা নবম মাসে মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রসূতিকে ভাল কিছু খাওয়ানোর প্রথাকেই বলা হয় সাধভক্ষণ।সাধ প্রাচীন ভারতীয় ষোড়শ সংস্কারের তৃতীয় সংস্কার সীমন্তোন্নয়ন এর বঙ্গ অঞ্চলে প্রচলিত একটি রূপ। এটি কেরালায় সীমান্তধাম, তামিলনাড়ুতে ভালকাপ্পু, পাঞ্জাবে গোধ ভরাই, গুজরাটে গোধ ভরনা ও মহারাষ্ট্রে দোহাল জেভান নামে প্রচলিত।

বাঙালী ঐতিহ্য অনুসারে ‘সাধ ভক্ষণ / সাধ খাওয়া’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ- গর্ভবতী নারীর আকাঙ্খা অনুযায়ী খাবারের উৎসব বা অনুষ্ঠান।এ অনুষ্ঠানে হরেক রকমের খাবারের পাশাপাশি উপহার সামগ্রী দিয়েও হবু মায়ের কোল পূর্ণ করা হয়।(উইকিপিডিয়া)

সাধভক্ষণের বিধান:

উইকিপিডিয়ার তথ্য থেকে একথা স্পষ্ট যে,এটি একটি অনৈসলামিক কালচার।ইসলামী শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।এগুলো কুসংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত।তাই মুসলমানদের জন্য জরুরী হলো এসব রুসূম পরিহার করা।কেননা,ইসলামে বিধর্মী ও বদদ্বীন লোকদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

হাদিস শরীফে এসেছে,

عن عبد الله بن عمر رض قال : قال النبي صلى اللّٰه عليه وسلم  : من تشبه بقوم فهو منهم.(سنن أبي داود ٤٠٣١) 

অর্থাৎ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন :যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের অনুসরণ করে,সে (পরকালে)তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

والله تعالىٰ أعلم بالصواب

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url