আযানের সময় যিকির,মুনাজাত বা কুরআন তেলাওয়াতের বিধান

প্রশ্ন:

আযানের সময় যিকির,মুনাজাত বা কুরআন তেলাওয়াত উত্তম নাকি আযানের জবাব দেওয়া উত্তম?

উত্তর:

আযানের সময় যিকির,মুনাজাত বা কুরআন তেলাওয়াতের বিধান:

আযানের সময় যিকির,মুনাজাত কিংবা কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে আযাবের জবাব দেওয়াই উত্তম।


কেননা,আজানের জবাব,মুনাজাত ও কুরআন তেলাওয়াত এগুলো যিকিরের অন্তর্ভুক্ত। আর মাসনূন যিকির দুই প্রকার।

১.সময় নির্দিষ্ট।পরিভাষায় এগুলোকে আযকারে ওয়ারেদা বলা হয়।যেমন: সকাল-সন্ধ্যা ও নামাযের পরবর্তী যিকিরসমূহ ও তেলাওয়াত,আযানের সময় আযানের জবাব  ও পরে দোয়া পড়া,খানার দোয়া,টয়লেটে যাওয়া-আসার দোয়া,ঘুমের দোয়া ইত্যাদি।

২.সময় অনির্দিষ্ট।এগুলোকে আযকারে গাইরে ওয়ারেদা বলা হয়।যেমন,স্বাভাবিক দোয়া বা মুনাজাত,যিকির,কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি। 

এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো- প্রথম প্রকারের যিকিরের সময় দ্বিতীয় প্রকারের যিকির উত্তম নয়,বরং তখন প্রথম প্রকারের যিকির করাই সুন্নত।

দলীল:

وفي بدائع الصنائع ١/ ٤٨٧، دار الحديث

ولا ينبغي أن يتكلم السامع في حال الأذان و الإقامة، ولا يشتغل بقراءة القرآن ولا بشيء من الأعمال سوى الإجابة، ولو كان في القراءة ينبغي أن يقطع و يشتغل بالاستماع و الإجابة، كذا قالوا في الفتاوى والله أعلم

والله تعالىٰ أعلم بالصواب

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url