অশুদ্ধ তেলাওয়াতকারী ইমামের পেছনে নামায না পড়ে একাকি বারান্দায় নামায পড়া যাবে কিনা?
আপনার প্রশ্নের শরয়ী সমাধান :
শরীয়তের দৃষ্টিতে নামাজে তাজবীদসম্মত কেরাত হওয়া জরুরি। কিন্তু কেরাতের যে কোন প্রকার ভুলের কারণেই নামাজ নষ্ট হয়ে যায় না বরং কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কোরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ইমামের কেরাতের ভুলের ক্ষেত্রে নিজ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ আলেম বা মুফতি সাহেবকে অশুদ্ধ কেরাতের ধরন জানিয়ে এর হুকুম জেনে নেওয়া জরুরী। এতে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে আর যদি বাস্তবেই জানা যায় ইমামের কেরাত এমন অশুদ্ধ যার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ফিতনার আশংকা থাকলে ওই ইমামের পিছনে জামাতের সাথে নামাজ পড়ে নিবে এবং পরে একাকী সেই নামাজ পুনরায় পড়ে নিবে। কিন্তু এই অবস্থায় ইমামের পিছনে জামাতে দাঁড়িয়ে একাকী নামাজ পড়বেনা।বরং ঘরে কিংবা সতর্কতার সাথে বারান্দায় পড়ে নিবে যেন ফেতনা না হয়।
শরয়ী দলীলসমূহ :
1/الدر المختار مع الرد - ۵٩٢/١ - (ایچ ایم سعید )
( وإذا إقتدى أمى وقارئ بأنى) تفسد صلاة الكل للقدرة على القراءة بالاقتداء بالقارئ سواء علم به أو لا نواه اولا على المذهب
2/- رد المحتار - ۵٩٢/١ - (ایچ ایم سعید)
- ( قوله تفسد صلاة الكل ( أي عنده - وعندهما صلاة
القاري فقط لأنه تارك فرض القراءة مع القدرة . وله أن الأميين أيضا تركاها مع القدرة عليها إذ كانا قادرين على تقديم القارئ حيث حصل الاتفاقفاق فى الصلاة والرغبة في الجماعة
3/الفتاوى الهندية : ١/ ٣٢ - زکریا
إلا اذا كان الإمام أميا والمقتدى قاريا - أو كان أخرس والمقتدى أميا فلا يصح صلاة امام أيضا
4/الفتاوى التاتارخانية:٢/٢٤٨ زكريا
والعالم بالسنة أولى بالتقديم ... وفي فتاوى الإرشاد . يجب أن يكون إمام القوم في الصلاة أفضلهم في العلم والورع والتقوى على هذا اجماع الامة
5/آپ کے مسائل اور ان کا حال : ۳۲۸/۲
جواب: قراءت کی بعض غلطیاں ایسی ہیں کہ ان سے نماز فاسدہو جاتی ہے ۔ ایسے شخص کو امام بنانا جائز نہیں؛
والله أعلم بالصواب